Tuesday 17 January 2012

পাতানো খেলার শঙ্কা - মানবজমিন

সতি্যকার ক্রিকেটের ভক্ত হিসেবে চাইব, মানবজমিনের এই রির্পোট যেন মিথ্যা হয়।

এখনও শুরু হয়নি বিপিএল। তার আগেই নানা কর্মকাণ্ডে আকর্ষণ হারাতে বসেছে এই আসর। নান রকম উচ্চাভিলাষী কথা শোনা গেলেও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল তাদের সেসব কোন বিলাসী স্বপ্নই পূরণ করেনি। তাদের কথা ও কাজের সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না কোন মিলও। যেমন প্রথমে দেশের বাইরে নিলাম হবে শোনা যায় সেখান থেকে সরে এসে কক্সবাজারে নিলাম ও থিম সং উন্মোচনের কথা কলেন। যার কোনটাই হয়নি। সর্বশেষ দেশী ক্রিকেটার বিশেষ করে আইকনদের স্বপ্নও ভাঙে তারা। বিদেশী ক্রিকেটারদের চেয়ে কম মূল্যেই তাদের কেনার পরিকল্পনা হচ্ছে। সব শেষে এবার বিপিএলে যুক্ত হয়েছে পাতানো খেলার শঙ্কাও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমনই জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক এক অধিনায়ক।

‘পাতানো খেলার আসর হবে বিপিএল।’ তার এই বিস্ময়কর তথ্যের পর জানতে চাওয়া হয় কিন্তু কিভাবে? আর এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচ পাতানো হবে বিপিএলে। আর তা থেকেই আয় বের নেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। যে পরিমাণ টাকা দিয়ে দল কিনেছে তাতে তাদের আয় করতে হবেই। আর সেই পথ পাতানো খেলার মাধ্যমেই বের করবে।’ পাতানো খেলার কৌশল হবে ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি দিয়েই। তাহলো আগে থেকেই একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করা হয়ে যাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। এরপর তাকে নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে নেয়া হবে। অথচ টাকা দেয়া হবে আগেই হওয়া চুক্তি অনুযায়ীই।’ এই বিষয়ে তিনি পূর্বের একটি উদাহরণ দিতে গিয়ে পোর্ট সিটি ক্রিকেট লীগের (পিসিএল) প্রথম আসরের একটি গোপন তথ্যও ফাঁস করে বলেন, ‘যেমন তামিম ইকবালকে পিসিএলে ৭ লাখ টাকা ম্যাচ প্রতি দিয়ে নেয়া হয়েছিল। আসলে চুক্তি ছিল ৭ লাখ টাকা পুরো টুর্নামেন্টে। তামিমকে সেইভাবেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এইরকমই হতে দেখা যাবে বিপিএলেও। এটাই আসল ব্যবসা হবে। তা না হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আয়ের পথ পাবে কোথায়? কোটি কোটি টাকা কিভাবে উঠিয়ে নেবে কোম্পানিগুলো?’ তিনি আরও বলেন, এই পাতানো খেলার সঙ্গে যে স্থানীয়রাই নয় জড়িত থাকবে ভারতীয়রা। কারণ এই খেলার সঙ্গে তাদের ৬ বছরের স্বার্থ জড়িত। এছাড়াও কয়েকদিন আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলাম হয়েছে। সেটিতেও পাতানোর হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলামটাও ফিক্সিং মনে হয়েছে। কারণ, অনেক কম পার্থক্যে দল কেনা হয়েছে। সেখানে এই দল কেনার প্রক্রিয়ায় বিড পদ্ধতিতে দেখা গেছে খুব কম পার্থক্য। আর তাতেই দল কেনা নিয়েও যে পাতানো খেলা হয়েছে সহজেই অনুমান করা যায়। এছাড়াও তার দাবি, ‘পাতানো খেলা শুরু হয়েছে দল কেনার নিলাম দিয়ে। শেষ যে কোথায় হবে বলা মুশকিল।’

No comments:

Post a Comment